প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে বিদেশে পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাবার্তা কে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা।
তিনি বলেন, পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার ইন্টারপোল পি কে হালদারের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
এদিকে এর আগেও পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তার আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে করা সব মামলার নথি চায় ইন্টারপোল। পরে ২ ডিসেম্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।
দুদক ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে।
এছাড়া দুদকের ক্যাসিনো দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট তালিকায় লিজিং কোম্পানি ও আর্থিক খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারে পিকে হালদার জড়িত। ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতায় তার বিরুদ্ধে ৮ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
অন্যদিকে নিরাপত্তা চেয়ে ১৯ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) জানায়, আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত দিতে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আদালতের আশ্রয়ে পিকে হালদার দেশে ফিরতে চাইছেন।
আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট এক আদেশে বলেন, পিকে হালদার বিমান থেকে দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করতে হবে। তিনি যদি দেশে আসেন, তাহলে এ কোম্পানি ম্যাটারটা নিষ্পত্তি করা যাবে। সেটা নিষ্পত্তি করতে এ কোর্ট দেখতে চায় যে, তিনি বিমানে দেশে পা ফেলা মাত্র তাকে যেন গ্রেপ্তার করা হয় এবং জেলে নেয়া হয়। তাকে যেন বাইরে যেতে না দেয়া হয়। এ কাজটা যদি করা হয়, তাহলে তার আবেদন অনুযায়ী তিনি যে মনে করছেন, তাকে কিডন্যাপ করা হবে, তা আর হবে না।
তবে ২৪ অক্টোবর পিকে হালদার দেশে ফিরছেন না বলে দুদক ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কে আইএলএফএসএলের আইনজীবী ই-মেইল করে জানান।